সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 3 minutes
আঃ হামিদ, মধুপুর টাঙ্গাইল:
পাঁচ দিনব্যাঁপী নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সফলভাবে সমাপ্তি শেষে টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাঁকজমক আয়োজনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদরে শারদীয়া দুর্গাৎসবের। দেশের বিভিন্ন জেলার মতো টাঙ্গাইলের মধুপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দুর্গাপূজায় মাকে বিদায় জানানোর জন্য বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে মন্দিরে মন্দিরে চলে সিঁদুর খেলা। শেষ বেলায় দেবী দুর্গার আরাধনায় ব্যস্ত ভক্তরা। ঢাকের তালে আর কাঁসার বর্ণিল আওয়াজে খুশিতে মেতে ওঠে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সী সকলে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাকে বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভরে যায় ভক্তদের মনে, ভক্ত ও সাধারণ দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মণ্ডপগুলো। দুপুর থেকে ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমা বিসর্জন দিতে সবাই হেঁটে, ,অটোরিক্সায় করে ছুটতে থাকে মধুপুরের ঐতিহ্যবাহী মদন গোপাল আঙ্গিনার পুকুুরের তীরে। ধুপ,মোমবাতি আর তেল দিয়ে মাকে প্রণামের পাশাপাশি ভক্তরা কামনা করে আগামীদিনের সুখ শান্তি। এসময় একে একে পুকুরের পানিতে বিসর্জন দেয়া হয় দেবী দুর্গাসহ সকল প্রতিমাকে। এদিকে সকাল থেকেই মদন গোপাল আঙ্গিনায় কেন্দ্রীয় দুর্গাপুজা উদযাপন পরিষদের পূজামন্ডপে বিজয়া দশমীর পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণের জন্য ভীড় জমায় অসংখ্য ভক্ত। পুষ্পাঞ্জলি শেষে সনাতন ধর্মালম্বীরা একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে দেবীর বির্সজনের বার্তা জানায়, মন্ডপে মন্ডপে চলে ঢাক-ঢোল ও ধর্মীয় আরতি। ধুপ আর মোমাবাতির আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো পূজামন্ডপ। প্রশাসনের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করতে পারায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। মধুপুরে ৫০টি পূজামন্ডপে শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে,আর সুন্দর ও সফলভাবে পূজা উদযাপন করতে পারায় খুশি সনাতনী ধর্মালম্বীরা।
উৎসবমুখর পরিবেশে জামালপুরের মাদারগঞ্জে খরকা বিলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাৎসব। বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেল থেকে শহর ও ইউনিয়নের বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে দেবীদুর্গাকে নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে একত্র হোন বাস্তবায়ানাধীন মির্জা মোস্তফা স্টেডিয়াম মাঠে। এবার উপজেলায় ২৪টি মণ্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিমা খরকা বিলে বিসর্জন দেওয়া হয়। এর আগে নাচে গেয়ে শেষ সময়ের আনন্দ উল্লাস করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। কেউ ঢাকের তালে কেউ বা ডিজে গানের তালে নাচেন। সকল বয়সের মানুষ একত্রে নাচতে দেখা যায়। এছাড়াও সিধুর খেলা ও রং মাখামাখি করতে দেখা যায়। এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্যান্য ধর্ম ও বর্ণের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিল। নিরাপত্তা দিতে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল হকের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল পুলিশ। দূর্ঘটনা রোধে প্রস্তুত ছিল ফায়ার সার্ভিস। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী এ বছর দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি নাশ করে নৌকায় চেপে কৈলাসে স্বামীর ঘরে ফিরে গেলেন। আগামী বছরের শরতে আবার তিনি এই ধরণীতে ফিরে আসবেন। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা, ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পেরে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল।